১.
ভ্রমণের চোখজোড়া ব্যস্ত
কর্দমাক্ত ও ঘোলাটে
যেন সবকিছুই নতুন অথবা
হুবহু অতীতেরই মতো
এই বিভ্রম, পরিক্রমা
ধামাচাপা চেষ্টা হৃদয় আবেগ
হীনম্মন্যতা ও ব্যক্তি-বোধকে ঘিরে
এইসব অবয়ব: স্থির-চিত্র, বধিরের
২.
স্থান বিষয়ে, বিষয় সংশ্লিষ্টতায় বলার ইচ্ছা যখন আসে তখন এই বিষয়ের প্রেক্ষিতে বর্ণনাসম্ভব সেলফ জেগে ওঠে বা তাকে করা যায় না বিশ্লিষ্ট আর, বিষয় প্রেক্ষিত থেকে সে বারবার সরে আসে ব্যক্তি দ্বন্দ্বে, বক্তিকেন্দ্রিকতায়, সাবজেক্টিভ সেইসব প্রয়াণ, বিষয়ের লেপ্টালেপ্টি এইসব হৃদয়দৌবল্য, স্থানের; আর স্থান যা হয়ে ওঠে মার্জিনাল, প্রান্তিকতা সবসময়, উৎস খুঁজে বেড়ায়, খুঁজে বেড়ায় ব্যক্তি আকার, সংশ্লিষ্টতার
স্থানের পরিপার্শ্ব ঘিরেই ঘুরপাক খায় সময়। আর সময়ের ডানা ধরেই আটকে থাকতে চায় স্থান। স্থান ঘুরে সময় থেকে সময়ে। সময়ের গোলকের ভিতর এক একটা স্থান। স্থানের নির্দিষ্ট রূপ কোন কি নাই? অ-পার স্মৃতিচিহ্নে, মনে পড়ায়, আটকে থাকায়, ভুলে যাওয়ায়? একইসাথে অশূন্য এবং নিরাকার স্থানচিহ্নের বন্দর ছড়াইতে থাকলো… সময় কী একাকার? একটা সরলরেখা? পাঁকচক্র? সেইটারও প্রচেষ্টা থাকে দৃশ্যকল্পে, কিংবা চোখ ধার করে আর দেখতেই থাকে, পুনরাবৃত্তি করে, যে একটা হয়ে ওঠা অসম্পূর্ণ হয়া আছে ও ছিল, তার অর্ধবৃত্তাকার, মিল ও অমিল
যে আছে, যে নাই, যে আসলে অনির্দিষ্টতা, যে বোধ সঞ্চার করে, দৃশ্যকল্প থেকে লোপাট করে কাঠামো, প্রবিষ্ট করে চেতনা, বেহুলার বাসরে সাপ, চিকন কালা, ভ্রম, সত্যনিবিষ্ট, দৃষ্টিগ্রাহ্যতা, অধঃপতিত বিহ্বলতার আকার, কল্পনা অভীপ্সার, হতোদম্য, আটকে থাকা . . .
তারে উদ্ধারে নেমেছে ডুবরীর সাঁতার। যতিচিহ্নের খেলা। আখ্যানমালার স্ফীতি, বর্ণনারূপ, ন্যারেটিভ এর ভিতর
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন